শেখ হাসিনা
,

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করাকে বর্তমান সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি জানান, সরকার এই প্রক্রিয়ায় এক ইঞ্চিও পিছু হটবে না।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবার খুনিদের ফেরত আনার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, তার দ্বিগুণ প্রচেষ্টা করা হবে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য।

বিশ্ববাসী ধীরে ধীরে শেখ হাসিনার সময়কার অপরাধ সম্পর্কে জানছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী এ বিষয়টি জানাজানি হলে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যে সকল অপরাধ করেছেন, তা দেশের জনগণের জন্য একটি বড় ক্ষতি।

এই বিষয়ে পরবর্তী যেকোনো সরকারও একই প্রচেষ্টা চালাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তদন্ত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ছয় সাংবাদিক হত্যার তদন্তকেও সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

প্রেস সচিব জানান, সৎ তদন্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে এই ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী সরকারের তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগের কর্মকর্তাদের দিয়ে সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

সাইবার সুরক্ষা আইন ও গুম কমিশন

সাইবার সুরক্ষা আইন নিয়ে টিআইবির সমালোচনার বিষয়ে সরকার ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, এই সমালোচনাকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করছেন।

গুম কমিশনের কাজকে ভালো উল্লেখ করে তিনি জানান, সাংবাদিকদের কয়েকটি আয়নাঘর পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

সেখানে দেখা যাবে, শেখ হাসিনার সময় কীভাবে ভয়াবহ গুমকাণ্ড পরিচালনা করা হতো।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি

সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়েও কাজ করছে সরকার।

শফিকুল আলম জানান, পিবিআই এই বিষয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করছে।

পিবিআই অতীতে পুরোনো খুনের কেস সফলভাবে সমাধান করায় তাদের প্রতি সরকারের আস্থা রয়েছে।

তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পিবিআই প্রধান প্রচুর সময় ব্যয় করছেন।

আন্তর্জাতিক ভিসা ইস্যু

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রসঙ্গে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও মিশন কাজ করছে বলে জানান উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, বুলগেরিয়া ভিসা সেন্টার ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছে।

রোমানিয়া, থাইল্যান্ড এবং কাজাখস্তান তাদের ভিসা প্রদান প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সুবিধা দিচ্ছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরোপিয়ান ডেস্ক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়তে পারেন