বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপিতে নানা সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
ঘোষণাপত্র প্রকাশের উদ্যোগের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ এবং প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন এটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
ঘোষণাপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা ও বিরোধিতা
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগ তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘মুজিববাদী সংবিধান কবরস্থ’ করার ঘোষণা আসবে এই ঘোষণাপত্রে।
তবে ঘোষণার দিন উপস্থিত জনসমাগম হলেও ঘোষণাপত্র প্রকাশ হয়নি।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এই উদ্যোগকে নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার কৌশল হিসেবে দেখা হয়েছে।
দলটি মনে করে, এমন কোনো কর্মসূচি যেন গণতান্ত্রিক দাবিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বায়াত্তরের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল।
তিনি মনে করেন, সংবিধান বাতিল করার দাবি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রশ্ন তোলেন, এ উদ্যোগের পেছনের মূল উদ্দেশ্য কী।
বিএনপি এই ঘটনায় বিদেশি শক্তির ইন্ধন থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
ঘোষণাপত্র প্রকাশ স্থগিত: কারণ ও প্রেক্ষাপট
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, বৈষম্যবিরোধীরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করতে চেয়েছিল।
তারা সরকারের বিভিন্ন মহলে প্রচার চালিয়ে এই উদ্যোগের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
তবে, ঘোষণাপত্র প্রকাশ স্থগিতের মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা ব্যাকফুটে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনী সময়সূচি নিয়ে আশঙ্কা
বিএনপির মূল উদ্বেগ হলো নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা।
দলটি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানালেও বৈষম্যবিরোধীরা নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার পক্ষে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বৈষম্যবিরোধীরা ক্ষমতায় থেকে তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে চায়।
এ উদ্যোগ বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা এবং সংগঠনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
বিএনপির মতে, এ ধরনের কর্মসূচি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।