,

তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের ভিত্তি ২৪ দফা

গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে তরুণ নেতৃত্ব নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

এই দল রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে ২৪ দফার ভিত্তিতে এগোচ্ছে।

দলের গঠনতন্ত্র ও সাংগঠনিক কাঠামো প্রণয়ন শেষে গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হবে।

রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি: তৃণমূলের অন্তর্ভুক্তি

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে থানা ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত অন্তত ১৫০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে সদস্যদের বয়স ৫০ বছরের নিচে সীমিত রাখা হয়েছে।

নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, উভয় প্ল্যাটফর্মই দল গঠনে ভূমিকা রাখছে।

এই দল জন-অধিকারকেন্দ্রিক রাজনীতির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে চায়।

নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র তাহসীন রিয়াজ জানিয়েছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দ্রুত থানা ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব থেকে রাজনৈতিক মঞ্চ

২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই তরুণদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আওয়াজ তোলে।

উভয় প্ল্যাটফর্মের নেতারা এখন একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের অংশগ্রহণই নতুন দলের ভিত্তি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, প্ল্যাটফর্মের কেউ নতুন দলে যোগ দিলে তাঁদের নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

নতুন দলের নীতি ও লক্ষ্য

নতুন দলের ভিত্তি হিসেবে ২৪ দফা প্রস্তুত করা হয়েছে।

এই দফাগুলোতে গণতান্ত্রিক রূপান্তর, নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং গণপরিষদ নির্বাচনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, সংসদের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব নয়, এজন্য গণপরিষদ নির্বাচন জরুরি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রেই নতুন সংবিধানের ভিত্তি রয়েছে।

নতুন দলটি আদর্শগতভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের জন্য কাজ করবে।

গণপরিষদ নির্বাচন: লক্ষ্য গণতান্ত্রিক সংবিধান

গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়।

তবে বিদ্যমান সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

নাগরিক কমিটি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হলেও তা কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি।

নাগরিক কমিটি জানিয়েছে, গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন সম্ভব নয়।

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পর গণপরিষদ নির্বাচনের পক্ষে শক্তিশালী দাবির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন