বাংলাদেশ পুলিশ
,

বাংলাদেশ পুলিশের ১০৩ কর্মকর্তার পদক বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১০৩ জন পদস্থ কর্মকর্তার ২০১৮ সালের জন্য দেওয়া বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চালু রয়েছে এবং মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই রাষ্ট্রীয় এই পদক প্রত্যাহার করা হবে।

সূত্র বলছে, পদক প্রত্যাহারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া আর্থিক সুবিধাও ফেরত নেওয়া হবে।

বিতর্কিত নির্বাচন এবং পদক বিতরণ

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত কর্মপরিধির অভিযোগ উঠেছিল।

অভিযোগ রয়েছে, এ নির্বাচনে সক্রিয় দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশের ১০৩ জন পদস্থ কর্মকর্তাকে ঢালাওভাবে রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ধরনের পদক বিতরণ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদকের অবমূল্যায়ন করেছে।

পদকের সঙ্গে দেওয়া আর্থিক সুবিধা ফেরত নেওয়ার প্রস্তাবও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের পথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ২২ ডিসেম্বর পাঠানো একটি চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিতর্কিত ওই নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী কর্মকর্তাদের জন্য দেওয়া পদক বিধি বহির্ভূত।

মন্ত্রণালয় থেকে এই ফাইল অনুমোদিত হলে দেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার প্রথমবারের মতো ঘটবে।

কোন কর্মকর্তাদের পদক বাতিল হতে পারে

বাতিলের তালিকায় রয়েছেন সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং শফিকুল ইসলাম।

এছাড়া পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজিসহ ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের নামও রয়েছে।

২০১৮ সালে ৪০ জনকে বিপিএম এবং ৬২ জনকে পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অপেক্ষায়

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সূত্র জানিয়েছেন, বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পদক দেওয়া কর্মকর্তাদের খুশি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক সাগর জানান, মন্ত্রণালয়ের চিঠি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলমও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে তিনি জানান।

আরও পড়তে পারেন