বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার এবং এর পরবর্তী সময়ে একটি রাজনৈতিক দল ব্যাংক দখল ও লুটপাটে জড়িত।
তিনি গতকাল রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এ মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী রিকশা ভ্যান অটো শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
৫ আগস্টের আগে ও পরের চিত্র
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের আগে ব্যাংক দখল ও লুটপাটে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা ছিল।
৫ আগস্টের পর, একটি রাজনৈতিক দল ইসলামী ব্যাংক দখলসহ আরও অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি কীভাবে ইসলামী ব্যাংকগুলো দখল করা হয়েছে। জনগণও তা দেখেছে।”
তিনি দাবি করেন, চাঁদাবাজ বিদায় নিয়েছে বলে যারা বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের নিজেরাই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।
টার্মিনাল ও টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ
রিজভী দাবি করেন, পাড়া-মহল্লা, জেলা ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখল এবং টেন্ডার বাণিজ্যে কিছু রাজনৈতিক দলের লোকজন জড়িত।
তিনি বলেন, “আপনারা নীরবে সব অপকর্ম চালাচ্ছেন, অথচ অন্যদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।”
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের ওপর ‘চাপাতি লীগ’, ‘হেলমেট লীগ’ ও ‘বন্দুক লীগ’-এর মতো বিশেষণ ব্যবহার করেন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য
রিজভী অভিযোগ করেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নামে বিএনপির বিরুদ্ধে অপতথ্য প্রচার চলছে।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার প্রতিটি গুম ও খুনের দোসর পার্শ্ববর্তী দেশ। তারা ক্ষমা চায়নি, তবু সম্পর্ক উন্নয়ন করা হচ্ছে।”
রিজভী দাবি করেন, এই ধরনের কার্যকলাপ ন্যায়নীতি থেকে বিচ্যুতি এবং জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
বিএনপি’র অবস্থান
রিজভী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো মাথা নত করেনি।
তিনি বলেন, “৭১ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন থেকেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন গণতন্ত্র ধ্বংস করতে এবং শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করতে এসেছিলেন। তখনও বিএনপি আপস করেনি।”
উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা
রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।