বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা করছে।
তাদের লক্ষ্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ।
ইতোমধ্যেই “নাগরিক কমিটি” নামে সংগঠনটি বিভিন্ন পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক কাঠামো প্রস্তুত করার কাজ চলছে।
সংগঠনটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছরের বিজয় দিবসে দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের অগ্রগতি
নাগরিক কমিটি ইতোমধ্যে প্রায় ১০০টি উপজেলা কমিটি গঠন করেছে এবং আরও ৫০টি কমিটির খসড়া প্রস্তুত রয়েছে।
সংগঠনটির লক্ষ্য, ৪০০ উপজেলা কমিটি গঠন করার পর পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা।
এই উপজেলা কমিটিগুলোই পরবর্তীতে জেলা কমিটি নির্ধারণ করবে।
নাগরিক কমিটির মুখপাত্র জানান, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বাকি কমিটি গঠনের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া, এবি পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের মতো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
তবে সম্ভাব্য জোট নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে পরিকল্পনা
নাগরিক কমিটি এখনও নির্বাচন কমিশনের রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেনি।
মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানিয়েছেন, দল গঠনের কাজ সম্পন্ন করার পরই রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি হয়নি।
গতকাল বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারি জানান, ছাত্র ও জনতার পক্ষ থেকে আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হবে।
সংগঠনটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন ধারার সূচনা করার লক্ষ্য নিয়েছে।