চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তার ভাই আবদুস সামাদের দুটি ব্যাংকের শেয়ার জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ নির্দেশ দেন।
মামলাটি জনতা ব্যাংকের ২,০০০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি নিয়ে করা হয়েছে বলে জানান মামলার আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
জব্দকৃত শেয়ারগুলোর মধ্যে সাইফুল আলমের শেয়ার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে এবং আবদুস সামাদের শেয়ার আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে রয়েছে।
জনতা ব্যাংকের সাদারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখার কর্মকর্তা সত্যজিৎ ঘোষ এ মামলাটি দায়ের করেন।
দুর্নীতির তদন্তে এন্টি করাপশন কমিশনকে নির্দেশ
আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জনতা ব্যাংকের এ ঋণ অনিয়মের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জানান, মামলার আবেদনের ভিত্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, “জনতা ব্যাংকের ২,০০০ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের পেছনের কারণ ও প্রক্রিয়া তদন্তে দুদককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদালত জব্দকৃত শেয়ারের ওপর নির্দেশ দিয়ে এটিকে আদালতের আওতায় রাখার আদেশ দিয়েছেন।”
ঋণের পরিমাণ ও অনিয়ম
জনতা ব্যাংকের ২০১২ সালের একটি ঋণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদসহ প্রায় ১,৮৫০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
প্রথমে ২০১২ সালে চট্টগ্রামের করপোরেট শাখা থেকে এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন ৬৫০ কোটি টাকার ঋণ নেয়।
২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১,০৭০.৬৫ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে।
এর মধ্যে পেমেন্ট অ্যাগেইনস্ট ডকুমেন্ট (৬১.৪৭ কোটি টাকা), লোন ট্রাস্ট রিসিপ্ট (২২৩.১৮ কোটি টাকা) এবং ক্যাশ ক্রেডিট হাইপোথিকেশন (২২৯.৯৯ কোটি টাকা) অন্তর্ভুক্ত।
এস আলম গ্রুপের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহে বিশেষায়িত।
জনতা ব্যাংকের কমপট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০২১ সালের প্রতিবেদনে ঋণের সীমা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন।