বহুল আলোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
সেই সাথে এর আগে বিচারিক আদালতের দেয়া রায় এবং মামলার অভিযোগপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায় ঘোষণা করেছে।
আদালত চত্বর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জান্নাতুল তানভী জানিয়েছেন, এদিন রায় ঘোষণা উপলক্ষ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের আদালতে উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল এজলাস। সকাল ১১ টায় রায় ঘোষণা শুরু করে হাইকোর্ট।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় আদালতের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এ মামলায় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার দণ্ড হয়েছিল।
২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের ওপর এ হামলা হয়।
এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশো নেতাকর্মী।
ওই হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুইটি মামলা হয়।
২০১৮ সালে বিচারিক আদালত মামলা দুটির রায় দেন।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালে এটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
অন্যদিকে, কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুই মামলায় আলাদা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।