দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ফলাফল আজ মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থার ব্যবহার করা হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকাল ১০টায় এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি তদারক করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শিক্ষার্থীরা অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ঘরে বসেই তাদের ভর্তির ফলাফল জানতে পারবেন।
লটারি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে এবং অভিভাবকদের ভরসা জুগিয়েছে।
লটারি অনুষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ অতিথিরা
লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলামও অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজনটি সম্পন্ন হয় অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে।
লটারি প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
উপস্থিত অতিথিরা বলেন, এ ধরনের ডিজিটাল ব্যবস্থা শিক্ষাখাতে নতুন যুগের সূচনা করেছে।
ভর্তি নীতিমালা এবং কোটাভিত্তিক নির্বাচন
লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন সরকারি নিয়ম অনুসারে করা হয়েছে।
প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে নির্ধারিত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়েছে।
ক্যাচমেন্ট এলাকা, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী, এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটাগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে প্রার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী ক্লাস ও শিফট বাছাই করা হয়েছে।
মাউশির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লটারি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভর্তি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে।
এবারের ভর্তির আবেদন ফি ছিল ১১০ টাকা, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য সহজলভ্য ছিল।
ফলাফল জানার পদ্ধতি
লটারি শেষে শিক্ষার্থীরা আবেদন করা মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
অনলাইনে ফলাফল দেখতে অভিভাবকদের https://gsa.teletalk.com.bd/ ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লটারি ফলাফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাবে।
প্রধান শিক্ষকরা তাদের স্কুলের ফলাফলও একই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতিকে ই-মেইলের মাধ্যমে ফলাফল পাঠানোর জন্য।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে।
ডিজিটাল ভর্তির গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ
এবারের ভর্তি কার্যক্রমে প্রথমবারের মতো এককভাবে ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করা হয়েছে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এই পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমাবে এবং ভর্তিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখবে বলে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, ডিজিটাল লটারি দেশের শিক্ষাখাতে একটি আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতির উদাহরণ হয়ে থাকবে।