বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অপসারণের দাবিতে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইনে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
গত বুধবার পর্যন্ত, এই পিটিশনে প্রায় ২৪০০ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।
পিটিশনটি বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম পিটিশন প্ল্যাটফর্ম চেঞ্জ ডট ওআরজি-তে চালু করা হয়।
ক্যাম্পেইনটি চালু করেছে ‘অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশ’ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন।
পিটিশনের পটভূমি এবং অভিযোগ
পিটিশনে বলা হয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মায়ের শাসনামলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র নেতৃত্বাধীন একটি বিদ্রোহের সময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর সহিংস দমন অভিযানের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
সরকারের সেই দমন অভিযানে বহু মানুষ নিহত এবং আহত হয়।
আহতরা যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তার মায়ের দমনমূলক নীতির প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, তার নেতৃত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করা হয়েছে।
অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশের আহ্বান
মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশ’ এই পিটিশনটি চালু করে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তারা ফেসবুক পোস্টে জনগণকে এই পিটিশনে স্বাক্ষর ও শেয়ার করার আহ্বান জানায়।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অপসারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য নেতৃত্বে সততা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশ বলেছে, মানবাধিকারের জন্য লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
হু-এর নীতির সাথে সাংঘর্ষিক দাবি
পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এই অভিযোগগুলো সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরপেক্ষতা এবং মানবতার নীতি রক্ষায় তার পুনর্মূল্যায়ন জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিটিশনকারীরা বিশ্বাস করেন, পুতুলের অবস্থান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
জনগণের প্রতিক্রিয়া ও সমর্থন
পিটিশনটি চালু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
২৪০০ জনের বেশি মানুষ এতে স্বাক্ষর করে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাক্ষরকারীরা এতে অংশ নিয়েছেন।
তারা পুতুলের অপসারণের মাধ্যমে হু-এর নিরপেক্ষতা পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছেন।
স্বাক্ষরকারীরা বিশ্বাস করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে সঠিক মানদণ্ড বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।