,

বিএনপির লক্ষ্য: সংস্কার, নির্বাচন ও রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখা

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলোর ওপর নজর রাখছে।

দলটির নেতারা বলছেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো থেকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়গুলো সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, সংস্কার নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

একমাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদেরই এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে।

প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও পৃথক কমিটি কাজ করছে।

দলটি মনে করছে, সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো কার্যকর করতে রাজনৈতিক ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখতে বিএনপির তৎপরতা

বিএনপি সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

তবে, দলটি স্বীকার করেছে যে এই ঐক্য বজায় রাখতে মাঝে মধ্যে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এ বিষয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই হয়েছিল, তেমনই গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়েও ঐক্যের প্রয়োজন।

তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে এই ঐক্য গড়ায় ব্যর্থতা আছে।

বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।

তাদের মতে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

সংস্কার কমিশন গঠনে বিএনপির ভূমিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য একাধিক কমিটি গঠন করে।

সংস্কার কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ‘রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন’ নামে একটি বিশেষ কমিটি করা হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কমিটিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এবং সালাউদ্দিন আহমেদ রয়েছেন।

প্রশাসন সংস্কার নিয়ে আলাদা একটি কমিটিও কাজ করছে।

এছাড়া, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, ব্যাংকিং ও বাণিজ্য, পুলিশ এবং বিচার বিভাগের সংস্কারে আলাদা আলাদা কমিটি কাজ করছে।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র: বিএনপির ভূমিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল।

তবে বিএনপি তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে অস্বীকৃতি জানায়।

দলটি মনে করেছিল, এটি দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সমাধান করা হয়।

পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঘোষণাপত্র প্রকাশ থেকে সরে আসেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়তে পারেন