,

প্রশাসন ক্যাডারে উত্তেজনা: সংস্কার কমিশন ও কর্মকর্তাদের মধ্যে টানাপোড়েন

জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) এবং বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।

সংস্কার কমিশনের প্রধান মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

ছয় দফা দাবি ও হুঁশিয়ারি

বিএএসএর সভাপতি মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পক্ষে ছয় দফা দাবি পেশ করেন।

এই দাবিগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের ওপর কোটা আরোপ বন্ধ, পদোন্নতি ও পদায়নে সবার জন্য সম্মানজনক ব্যবস্থা এবং বহিরাগত নিয়োগ প্রতিহতের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় কর্মকর্তারা সর্বদা সতর্ক থাকবে।

অন্যদিকে, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার সরাসরি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুয়ীদ চৌধুরী অপসারিত না হলে কৌশলগত কর্মসূচি নেওয়া হবে।

৪ জানুয়ারির সমাবেশের বিভ্রান্তি

৪ জানুয়ারি সমাবেশের ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি প্রস্তাব করলেও, বিএএসএ সমাবেশের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানায়।

বিএএসএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সংগঠনের সদস্যরা সরকারি বিধি-বিধান মেনে যৌক্তিক দাবি জানাতে সচেতন।

তবে আলটিমেটাম প্রসঙ্গে আব্দুস সাত্তার ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ মন্তব্য করে অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি করেন।

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে ক্ষোভ

সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় সরকারের শীর্ষ মহল ক্ষুব্ধ।

প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আগে প্রকাশ করায় উপদেষ্টা পরিষদ বিরক্তি প্রকাশ করেছে।

কমিশনকে সতর্ক করে দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের সদস্যরা জানান, প্রতিবেদন ৩ জানুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা প্রস্তুত হয়নি।

প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

প্রশাসন ক্যাডারে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব

বিএএসএ এবং বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির অবস্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট।

একদিকে ছয় দফার প্রতি অনড় থাকা, অন্যদিকে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ।

অন্যদিকে, কমিশনের সদস্যরা সরকারের চাপ সামলে প্রতিবেদন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আরও পড়তে পারেন