বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছে।
দলটি মনে করে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণ একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ চায়।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বক্তব্যকে অস্পষ্ট উল্লেখ করে বলেন, জাতি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী সময়ের ঘোষণা প্রত্যাশা করে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে দ্বন্দ্ব
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ২০২৫ সালের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন হতে পারে।
তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারে অতিরিক্ত ছয় মাস সময় লাগতে পারে।
পরদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
বিএনপি এই দুই বক্তব্যকে পরস্পরবিরোধী উল্লেখ করে অভিযোগ করে, এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন।
তিনি বলেন, “কিছু আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুততম সময়ে ভোট আয়োজন সম্ভব। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এ জন্য চার থেকে ছয় মাসের বেশি সময় লাগবে না।”
বিএনপির প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দ্রুত সংস্কার শেষ করে ভোটের আয়োজন করা উচিত।
বিএনপির অভিযোগ, বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করা হয়নি।
দলের নেতারা বলেন, জনগণ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্ভরযোগ্য এবং সময়োচিত পদক্ষেপ আশা করে।
বিএনপি স্পষ্ট করেছে, তারা দ্রুত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়।