,

দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮১ জন যাত্রীসহ বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১২০

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ১২০ জন নিহত হয়েছেন।

বিমানটিতে থাকা ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম বাজেট এয়ারলাইন জেজু এয়ারের।

রানওয়ে থেকে ছিটকে দেয়ালে আঘাত

বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফেরার পর মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করছিল।

অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষ করে।

বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটির এক অংশে আগুন ধরে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ার পর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠছে।

মুয়ান বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিমানটির পেছনের অংশ থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল।

যাত্রীদের পরিচয়

বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয় জন ক্রু ছিলেন।

১৭৩ জন যাত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার এবং বাকি দুই জন থাইল্যান্ডের নাগরিক।

দুর্ঘটনার পর একজন ফ্লাইট সহকারী ও একজন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

উদ্ধার তৎপরতা ও দমকল বাহিনীর ভূমিকা

ঘটনাস্থলে কাজ করছে দমকল বাহিনীর ৮০ জন কর্মী ও ৩২টি গাড়ি।

বিধ্বস্ত বিমানটি থেকে জীবিতদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হুন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পেছনে পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার সম্ভাব্য ভূমিকা থাকতে পারে।

জেজু এয়ারের বিবৃতি

জেজু এয়ার দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

বিমান সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আমরা যা যা করা প্রয়োজন, তা করব। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে দুঃখিত।’’

জেজু এয়ারের ইতিহাসে এটিই প্রথম বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

প্রেসিডেন্টের নির্দেশ

দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চই স্যাং-মক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজের তদারকি করেছেন।

তিনি প্রয়োজনীয় লোকবল, উপকরণ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্তকারীরা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই ঘটনায় মুয়ান বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন