আন্দোলনকারী ছাত্র
,

তিন শিক্ষার্থীকে গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শিক্ষার্থীর ‘গুপ্তহত্যা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মিছিল থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

‘গুপ্তহত্যার’ বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত মিছিলে উল্লেখ করা হয়, হত্যার বিচারের দাবি এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

মিছিলটি ভিসি চত্বর ও হলপাড়া হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহান।

এছাড়া নিহত হন আরও একজন অজ্ঞাতনামা তরুণ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্য

বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, বিপ্লবীদের হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ।

তিনি অভিযোগ করেন, “বিপ্লবীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।”

আবদুল কাদের বলেন, “আমাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমরা দেশের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব।”

তিনি আরো বলেন, “গুপ্তহত্যা করে আন্দোলন থামানো যাবে না। আমাদের দাবি স্পষ্ট—দোষীদের দ্রুত ফাঁসির আওতায় আনতে হবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিত্বকারী নেতা মঞ্জু বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন চলবে।

তিনি বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।”

অপরাধীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের ব্যর্থতা

বিক্ষোভ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এক বার্তায় বলেন, “বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তিনজন হত্যার ঘটনা জাতির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করেছে।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, “শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, যা যথাযথ এবং ন্যায্য।”

তিনি জানান, “৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।”

তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অপরাধীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুন।”

এছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে টহল জোরদার করারও দাবি জানানো হয়, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড রোধ করা সম্ভব হয়।

আরও পড়তে পারেন