তারেক রহমান
,

তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে বাধা আরও চার মামলার সাজা

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় খালাস পেলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো চারটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।

গতকাল হাইকোর্টের রায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় খালাস পান তিনি।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “২১ আগস্ট মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়া তারেক রহমান বাকি মামলাগুলোতেও সুবিচার পাবেন বলে আশা করি।”

চার মামলায় তার সাজা বহাল থাকায় দেশে ফেরা আপাতত কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দুর্নীতি ও অর্থ পাচার মামলা

তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট সাজা দেওয়া হয়।

ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত এই মামলায় তারেককে ৯ বছর এবং জোবাইদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।

মামলার রায়ে বলা হয়, পলাতক থাকায় তারেক রহমানের পক্ষে কোনো আপিল করা হয়নি।

অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের একটি মামলায় তারেক রহমানকে প্রথমে খালাস দেওয়া হলেও হাইকোর্ট পরে এই রায় বাতিল করে।

২০১৬ সালে হাইকোর্ট তাঁকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।

এই মামলায় তারেকের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি ও মানহানির মামলা

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই মামলায় তাঁর মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও সাজাপ্রাপ্ত হন।

এছাড়া, ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তারেক রহমানকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন।

২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যে বিএনপির একটি সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দেওয়ার অভিযোগে মানহানির মামলা দায়ের করেন এক মুক্তিযোদ্ধা।

নড়াইলে দায়ের করা এই মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

সিলেটের দুই মামলা খারিজ

সিলেটে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়েরকৃত দুটি মামলা গতকাল খারিজ করে দেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

বাদী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক ছগির আহমদ মামলা দুটি খারিজের আদেশ দেন।

২০১৪ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি শামীম মোল্লা মামলা দুটি দায়ের করেন।

মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি আবু ফাহাদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর অনুপস্থিতির কারণেই মামলা দুটি খারিজ হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন