ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য: যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসুক পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি পানামা খালের ফি কমানো অথবা খালটির নিয়ন্ত্রণ পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার দাবি তুলেছেন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, পানামা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে যা “অন্যায্য ও হাস্যকর।”

পানামা খালের ফি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি

অ্যারিজোনায় টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর এক সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “পানামা যে ফি আদায় করছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি উল্লেখ করেন, এই ফি আদায় বন্ধ করতে “প্রতারণার অবসান” হওয়া উচিত।

তার বক্তব্যে উঠে আসে, যদি পানামা খালের ফি কমানো না হয়, তবে “যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত এবং নির্দ্বিধায় খালটি ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানাবে।”

ট্রাম্পের মন্তব্যের পর পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেছেন, খালটি তাদের সার্বভৌমত্বের অংশ এবং এই বিষয়ে কোন বিতর্ক গ্রহণযোগ্য নয়।

পানামার প্রেসিডেন্টের মতে, তাদের দেশের ভূখণ্ডের প্রতি বর্গমিটারই স্বাধীনতার প্রতীক।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ এবং চীনের প্রভাব

পানামা খাল আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্য পথ।

১৯০০-এর দশকের শুরুতে নির্মিত এই খালটি ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

পরে একটি চুক্তির আওতায় ১৯৯৯ সালে পানামার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় খালটি।

এই খালের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ১৪ হাজার জাহাজ চলাচল করে।

চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই এই খালের প্রধান ব্যবহারকারী।

তবে সম্প্রতি পানামার সাথে চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পানামা খাল নিয়ে মন্তব্য তার বৈদেশিক নীতির একটি দিককে স্পষ্ট করে।

তিনি মেক্সিকো এবং কানাডার বিরুদ্ধেও কড়া মন্তব্য করেছেন, তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক এবং অভিবাসী প্রবেশের জন্য দায়ী করেছেন।

তবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবমকে তিনি “চমৎকার নারী” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তার বক্তব্যে অভিবাসন, অপরাধ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলো উঠে আসে যা তার নির্বাচনী প্রচারণার মূল ইস্যু ছিল।

ট্রাম্প টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর বার্ষিক সমাবেশে রক্ষণশীল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় “অবিচল ও দৃঢ়” থাকবে।

এই মন্তব্য এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতিতে তার সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

আরও পড়তে পারেন